স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও অসচেতনতার অভাবে সারাদেশে আবারও করোনার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে ভৈরব উপজেলাতেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ জন। এ নিয়ে ভৈরবের সাধারণ জনগণের মাঝে আবারও বাড়ছে আতঙ্ক। এই উপজেলায় করোনার আক্রান্তের বৃদ্ধির মূল কারণ হল অসচেতনতা। মানুষ রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করেন। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির নেই কোনো তোয়াক্কা। মানছেন না সরকারি কোনো নিয়মনীতি। যার কারণে কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে ভৈরবে করোনার আক্রান্তের হার বেশি।
ভৈরব প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবারও নেয়া হচ্ছে কঠোরতা। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নিয়মনীতি মেনে চলার সচেতনতা বাড়াতে আবারও মাঠে নেমেছেন ভৈরব প্রশাসন।
এই উপলক্ষে আজ ১৫ মার্চ সোমবার ভৈরবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড় এলাকায় মাস্ক না পরায় ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ২২ জন ব্যক্তিকে ৮ হাজার ৭শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা জানান, ভৈরবে আবারও করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রোববারের রিপোর্ট অনুযায়ী ভৈরব উপজেলায় ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কিছুদিন মানুষ সরকারি নিয়মনীতি, স্বাস্থ্যবিধি মানলেও এখন আর তা মানছেন না। মাস্ক পরিধান করছেন না। যার কারণে আবারও ভৈরবে সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মানুষের মাঝে আবারও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ শহরের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে ২২ জন ব্যক্তিকে মাস্ক না পরায় ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যে ৮ হাজার ৭শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।